মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস, ক্যাপশন

জীবনে যাঁতাকলে পড়ে মানুষ যে কখন নিজের অস্তিত্ব ভুলতে বসে তা সে নিজেও বলতে পারেনা। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা খুব ছোটবেলা থেকেই জীবনের যে স্ট্রাগল করে আসে তাতেই তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাগুলো হয়ে যায়। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা না পারে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে, না পারে বাবা মায়ের মুখে ভালোভাবে হাসি ফুটাতে, না পারে প্রিয় মানুষের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখতে। আপনি যদি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে জীবনের কষ্টের কথা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস। আশা করি এই স্ট্যাটাস গুলো পড়ে আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব খুব সহজেই আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারবেন এবং আপনার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো পড়ে নেওয়া যাক: 

 

 

মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস

মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্ট বুকের ভেতর চাপা থাকে। তারা না পারে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে আর না পারে নিজের জীবনকে পরিবর্তন করতে। এখন আমরা মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনের কষ্টের কাহিনী নিয়ে লিখব মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস। 

 

  1. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা ভালো থাকুক বা না থাকুক অভিনয় করে সবাইকে জানান দেয় সে খুব সুখে আছে।
  2. একজন ফুল বিক্রেতা কিশোরের ও আকাশ ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন আছে, কিন্তু সে নিতান্তই একজন মধ্যবিত্ত।
  3. মধ্যবিত্তের জীবনের ছোট স্বপ্নগুলো কখনো আকাশ ছুঁতে পারে না, এরা নিতান্তই বুক পকেটে বন্দী থাকে।
  4. মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সবকিছু হারিয়ে গেলেও সম্মান যেন তাদের চলার পথের পাথেয়…. তারা সম্মান কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না!
  5. মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবন সবচেয়ে রোমাঞ্চক হয়, নিতান্ত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবনে প্রতিদিন যেন ওঠা পড়া একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
  6. কাগজ ভর্তি একটা বড় মানিব্যাগে যখন ২০ টাকা নিয়ে সারাদিন ঘুরে আবার বাড়ি ফিরে আসা যায় তখন জীবনটা মধ্যবিত্ত থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবনের দিকে ধাবিত হয়। 
  7. তপ্ত রোদের মধ্যে ঘামে ভেজা শার্ট পড়ে হাঁটতে পারে একমাত্র মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। 
  8. মোবাইলে ২০ টাকা ভরে দুই মাস অনায়াসে যে কাটিয়ে দেয় সে আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত ছেলে। 
  9. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেদের মোবাইল থেকে যেন দুই টাকা আর ফুরাতেই যায় না, সবাইকে মিসকল দেওয়ার জন্য ওই দুই টাকা যে খুব দরকার!
  10. মাইলের পর মাইল হেঁটে তপ্ত রোদের মধ্যে শার্ট ঘামে ভিজতে থাকলেও যে ছেলেটা থামেনা সে আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত ছেলে।
  11. হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে রিক্সাওয়ালা মামার কাছে দরকাষাঘষি করে হেরে গিয়ে আবার যে হাঁটতে শুরু করে সেই হলো মধ্যবিত্ত ছেলে। 
  12. “অভাবে নিমজ্জিত” এই শব্দটা যে একদমই ব্যবহার করতে চায় না কিন্তু মন থেকে বের হয়ে আসে সে আমাদের সমাজের মধ্যবিত্ত ছেলে।

 

 

মধ্যবিত্ত নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস

মধ্যবিত্ত মানুষের সম্পূর্ণ জীবনটাই কষ্টে কাটে। কারণ এমন মানুষরা খুব সহজে নিজের দুঃখের কথা অন্য কারো কাছে শেয়ার করতে পারেন নিজের মান সম্মানের কথা ভেবে। আপনি যদি আমার মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের নিচে দেওয়া মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্টাটাস ফেসবুকে ব্যবহার করতে পারেন। 

 

  1. হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যে ছেলেটা অনায়াসে খেয়ে উঠতে পারে আবার সে ই ১০০ টাকার ভাতের হোটেলেও মুখ বন্ধ করে খেয়ে উঠতে পারে, এটাই মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবন! 
  2. একবার বন্ধুদের সাথে ট্যুর এ যাওয়ার আগে যে ছেলেটা বাবার কাছ থেকে ৫০ বার টাকা চেয়েও পায় না সে ছেলেটিই মধ্যবিত্ত।
  3. জীবন নামের পার্থিব জিনিসটাকে একমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরাই খুব কাছ থেকে দেখতে পায়, অন্য শ্রেণীর মানুষরা এটা খালি উপলব্ধি করতে পারে। 
  4. মধ্যবিত্তদের জীবনে দুইটা শব্দ ছাড়া আর কিছুই নেই। একটি হলো “শেষ”, অপরটি হল “দরকার”।
  5. একটা ভালো দিনের অপেক্ষায় অনেকগুলো দিন পার করতে পারে শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা। 
  6. মধ্যবিত্ত মানসিকতা যখন মানুষের ভিতরে একবার ঢুকতে পারে তা আর কখনো বের করা সম্ভব হয় না। 
  7. পৃথিবীর সমস্ত চিন্তা ভাবনা যেন মধ্যবিত্ত মানুষদের অন্তরে গেঁথে থাকে, তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ হয়তো মান সম্মান নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তা করে। 
  8. ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, প্রাপ্তির খাতাটা সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা বন্ধ রাখতেই পছন্দ করে। 
  9. অস্থিমজ্জায় যার মধ্যবিত্ত মানসিকতা, সে উত্তর শ্রেণীতে প্রবেশ করলেও ভেতরটা মধ্যবিত্তই থাকে। 
  10. দিনশেষের মধ্যবিত্তের কাছে সবচেয়ে দামি সম্পদ হলো মান সম্মান। জীবনে কোন কিছুর বিনিময়ে এই মধ্যবিত্তরা মান সম্মান বিলিয়ে দেন না। 
  11. মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ প্রয়োজনে কাউকে ভালবাসেন না, বরং তারা তাদের সামর্থ্য থেকে মানুষকে বেশি আপ্যায়ন করে থাকেন। 
  12. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা ভালো ফলাফল, ভালো বেতনের চাকরি, গাড়ি, বাড়ি কোনটাই চান না … বরং মান-সম্মান নিয়ে বাঁচতে চান।

 

 

মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের পিক

আমরা এখন নিচে কিছু মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের পিক এবং মধ্যবিত্ত নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস প্রকাশ করব যা হয়তো আপনারা মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস হিসেবে ও ফেসবুকে আপলোড করতে পারবেন।

 

  1. মধুমিতা শ্রেণীর মানুষের কাছে “মানবীয় সম্পর্ক” সবচেয়ে বড় জিনিস, এরা যেন এটাকে কেন্দ্র করে বাঁচে। 
  2. মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরা হয়তো অনেক কিছু চায়, কিন্তু তারা যখন সবকিছু পায় তখন হয়তো আবার মনে মনে ভাবে “জীবনে কিছু কিছু জিনিসের অভাব থাকা ভালো”।
  3. মধ্যবিত্তরা সুখে থাকে কিন্তু টাকা থাকে না, তাই তারা হয়তো মনে মনে ভাবে “কিছু সুখ বোধহয় টাকা ছাড়া কিনতে পারা যায় না”।
  4. কিছু জিনিস না পাওয়ার মধ্যেও অনেক সুখ থাকে, এটা শুধুমাত্র একজন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ উপলব্ধি করতে পারে। 
  5. মধ্যবিত্ত ঘরের বাবা-মায়েরা সন্তানকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য একটা সম্পূর্ণ জীবনের উপার্জন শেষ করে দেয়, তাদের তুলনা শুধুমাত্র তারাই। 
  6. সন্তানকে ঈদের সময় সবচেয়ে ভালো জামাটা কিনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে মধ্যবিত্ত ঘরের বাবা-মায়েরা, কিন্তু মার্কেটে গিয়ে পকেটের দিকে তাকিয়ে তারা অসহায় হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। 
  7. একটু বাড়তি সঞ্চয় করে সন্তানকে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার স্বপ্ন সব মধ্যবিত্ত বাবা-মায়ের থাকে, কিন্তু সন্তানের সাফল্য সব বাবা মা দেখে যেতে পারেন না। 
  8. জীবনের সাথে সকল পরিস্থিতিতে অ্যাডজাস্টমেন্ট শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরাই করতে পারে, এরা যেন বেঁচে থেকেও মৃত। 
  9. প্রেমিকার হাত ধরে বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও শেষমেশ ফুচকা খেয়ে বাড়ি ফেরা ছেলেটাই মধ্যবিত্ত।
  10. একটা ছেঁড়া জামা বারবার মাকে দিয়ে সেলাই করানো ছেলেটা জানে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন কেমন হয়!

 

Read More:

  1. অপেক্ষা নিয়ে স্ট্যাটাস
  2. ডিপ্রেশন স্ট্যাটাস বাংলা | Depression Status Bangla
  3.  ১১০০ + ভালোবাসার স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, ও ছন্দ ! love status bangla
  4. ৮০০+ ইমোশনাল স্ট্যাটাস কবিতা | Emotional Status Bangla 2024

 

 

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের কষ্টের কথা

আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এখন আমরা আরো কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেদের কষ্টের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে আরো কিছু মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস পড়ে নেই: 

 

  1. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা বাবার মোটা অংকের টাকা খরচ করে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চায় না, বরং নিজের যোগ্যতায় বড় ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়ে দেখিয়ে দেয়! 
  2. প্রত্যেক মাসে চার পাঁচ দিন বেতন পেতে দেরি হলে জীবনের কষ্টটা কি, তা একজন মধ্যবিত্ত ছেলে খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে। 
  3. দুপুরের লাঞ্চে ১০ টাকার বাদাম ভাজা খেয়ে বাড়িতে টেলিফোন করে বিরিয়ানি খাওয়ার কথা বলা ছেলেটাই মধ্যবিত্ত।
  4. বাইরে পড়তে গিয়ে দিনের পর দিন নুন ভাত খাওয়া ছেলেটাই জানে জীবন কতটা কঠিন! 
  5. সারাজীবন মন ভাত খেয়ে ও নিজের মান-সম্মান অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরাই করতে পারে। 
  6. ঘরে ফিরে যখন মায়ের ওষুধের খালি শিশিটা চোখে পড়ে অথচ পকেট থাকে শূণ্য তখন সে বুকফাটা কষ্ট মধ্যবিত্ত ছেলেরা কাউকে বলতে পারেনা।
  7. ছেঁড়া জুতোটা বারবার সেলাই করতে করতে যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন “আরেকটা জুতা কেনার টাকা কোথায় পাবো” এটাই হয়তো চিন্তা করতে থাকে মধ্যবিত্তরা। 
  8. মাসের শেষ সপ্তাহ কোনরকমে ডাল ভাত খেয়ে সামনের মাসের বেতনের আশায় কাটে প্রত্যেকটি ছেলের মধ্যবিত্ত জীবন। 
  9. এলাহিভাবে জীবন যাপন করে নয় বরং খুব সাদামাটা ভাবে সবাইকে নিয়ে কিভাবে চলতে হয় তা মধ্যবিত্ত মানুষেরাই জানে। 
  10. মধ্যবিত্ত ছেলেরা কাউকে নিয়ে হিংসা করে না, বরং নিজের যা আছে তাই নিয়ে সারাদিন স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে চায় মধ্যবিত্তরা।

 

 

মধ্যবিত্ত ছেলেদের ক্যাপশন

আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস করে নিয়েছি। এখন আমরা মধ্যবিত্ত ছেলেদের ক্যাপশন পড়বো যা বিভিন্ন ছবির উপরে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন। 

 

  1. মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনের গতিপ্রবাহ থাকে ভিন্ন ধরনের, এদের স্বপ্ন থাকে আকাশ ছোঁয়া কিন্তু গন্ডি থাকে খুবই সীমিত। 
  2. তীব্র সংগ্রামের গল্পে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা নিতান্তই অসহায়, না থাকে শান্তি না থাকে স্বপ্ন ছোঁয়ার আকাঙ্ক্ষা। 
  3. মধ্যবিত্তদের জীবন গড়তে থাকে একটি নির্দিষ্ট চক্রের মধ্যে, এরা কিছুতে নিজের গণ্ডি থেকে বের হতে পারে না। ‌
  4. হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, মান-অভিমান, খুনসুটি নিয়েই চলতে থাকে মধ্যবিত্তদের সুখী জীবন। 
  5. ছিমছাম সাজানো গোছানো ঘর টাতে অর্থের অনেক অভাব থাকলেও সুখের যেন কোন অভাব থাকে না।
  6. মৃদু হাসি দিয়ে জীবনের সব পরিস্থিতিকে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়, এটা শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষই করতে পারে।
  7. “বুক পকেটে জীবন” এই শব্দ দুটো একমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের জন্যই হয়তো তৈরি হয়েছে। 
  8. অফিসের বেতন না হওয়া, ইনক্রিমেন্ট না দেওয়া, বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়া যে কতটা যন্ত্রণাময় তা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছেলেরা ভালোভাবে উপলব্ধি করে।
  9. ডাইনিং টেবিলে খেতে বসে প্রতিনিয়ত দুঃখের কথা বলতে থাকা পরিবারের মানুষই মধ্যবিত্ত। 
  10. বাস্তবতায় ছন্দপতনে বারবার নিজেকে হারিয়ে ফেলে আবার পরিবারের টানে ঘরে ফিরে আসা ছেলেটাই মধ্যবিত্ত।

 

 

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান স্ট্যাটাস

মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা কিছুটা বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে এ জীবনে চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হতে কখন যে নিজেকে হারিয়ে ফেলে তা তারা নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারে না। জীবনের প্রতিটি স্তরে এক টাকা খরচ করার আগেও দশবার ভাবা ছেলেগুলোর জীবন খুব সহজ হয় না। তাইতো এবার আমরা মধ্যবিত্ত ছেলেদের নিয়ে জেনে নিব মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস।

 

  1. বড়লোকরা যখন যা খুশি খরচ করতে পারে, গরিবরা যখন তখন যার কাছে হাত পাততে পারে, কিন্তু মধ্যবিত্তরা মান সম্মান বাঁচানোর ভয়ে ধুকে ধুকে পচে মরে।
  2. মধ্যবিত্তের কাছে হাজারটা ইচ্ছা রয়েছে, স্বপ্ন পূরণ করার মত যথেষ্ট সাহস রয়েছে কিন্তু সাফল্য সব সময় তাদের কাছে ধরা দেয় না। 
  3. জোড়া তালি দিয়ে একটা জীবন অনায়াসে পার করে দিতে পারে একটা মধ্যবিত্ত ছেলে। 
  4. একজন মধ্যবিত্ত ছেলের ঈদের আগের দিনও চিন্তা করতে হয় সেই ঈদের জামা নেবে নাকি স্কুল ড্রেস বানাবে! জীবন এদের কাছে কষ্টের নামান্তর। 
  5. দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি এখানে মধ্যবিত্তদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই, এদের আছে শুধু ধুঁকে ধুকে কষ্ট পাওয়ার অধিকার। 
  6. পূর্বে যারা মধ্যবিত্ত ছিল দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে নেমে যাচ্ছে… দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বতর দাম যেন সবার কাছে বিষকাটা’র মত।
  7. এক পিস মাছ ভাগ করে চারজন খেতে পারে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানরা, ঘরে দারুন অভাবেও এরা সুখে থাকে। 
  8. হাজারটা চিন্তা মাথায় নিয়ে কখন যে মধ্যবিত্তরা হাসতে ভুলে যায় তা তাদের অজানা। 
  9. মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা স্বপ্ন দেখে, কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণ করার আগে পরিবারের ভরণপোষণের জোগাড় করতে করতে এদের জীবন ওখানেই শেষ হয়। 
  10. বন্ধুদের সাথে অনেকবার বনভোজনের প্লান করে শেষে ঘরে বসে খিচুড়ি রান্না করা ছেলেটাই মধ্যবিত্ত।

 

 

মধ্যবিত্ত নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস আশা করি আপনাদের ভালো লাগছে, স্ট্যাটাস গুলো ভালো লেগে থাকলে আমাদের নিচের আরো কিছু মধ্যবিত্ত নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস পড়ার অনুরোধ রইল।

 

  1. যোগ বিয়োগের খেলায় একমাত্র অবশিষ্ট থাকে বিয়োগ, এটাই মধ্যবিত্তদের জীবন। 
  2. আমাকে ভুলে যেও প্রিয়, মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবন পরিবারের শখ আহ্লাদ এর মধ্যেই আবদ্ধ থাকে, তোমাকে পাওয়ার অধিকার আমার নেই। 
  3. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা যখন খেতে বসে তখন হয়তো প্লেটের পাশে পাঁচ রকমের তরকারি না থাকতে পারে, কিন্তু মায়ের হাতের মমতা মেশানো থাকে। 
  4. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা স্বপ্নের রাজকুমারী কেও এড়িয়ে চলে বাস্তবতার টানাপোড়েন এ।
  5. সংসারের দায়-দেনা ঘাড়ে নিয়ে ছোটখাটো একটা চাকরি খুঁজে বেড়ানো ছেলেটা সমাজের চোখে মধ্যবিত্ত। 
  6. প্রতি মাসে টিকে থাকার লড়াই যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা একমাত্র মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরাই বুঝতে পারে।
  7. সমাজের চোখে আমি অযোগ্য হলেও নিজের চোখে আমি সৎ, আর যারা সমাজের চোখে যোগ্য তারা হয়তো নিজের চোখে নিজেই অসৎ। 
  8. মাস শেষে ফাঁকা পকেটে মধ্যবিত্ত ছেলেদের দীর্ঘশ্বাস বাড়তে থাকে, দিনযাপন যেন একটা যুদ্ধ ময়দান হয়ে যায়। 
  9. জীবনের এই লম্বা সফরে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা সবসময় হয়তো নিজের মৃত্যু কামনা করে, কারণ বেঁচে থাকাটাই এদের কাছে কঠিন।
  10. একটা ভালো দিনের অপেক্ষায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনেকগুলো দিন পার করে দেওয়া মানুষ গুলোই মধ্যবিত্ত।

 

 

মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে কিছু কথা

মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে কমবেশি আমরা সবাই অবগত। একে তো সংসারে টানাটানি তারপরে যখন আবার এই পরিবারের পিতা-মাতা অসুস্থ হন বা বড় কোন বিপর্যয় ঘটে তখন সংসার যেন বানের পানিতে ভেসে যাওয়ার মত হয়। তাই এবারের পর্যায়ে আমরা আরো কিছু মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস পড়বো।

 

  1. মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নিলেও কখনোই হাল ছাড়া উচিত নয়, কারণ মনে রাখতে হবে সূর্য কিন্তু সবার জন্যই ওঠে। 
  2. পরিবারের জন্য ছাড়াও ও প্রিয় মানুষকে পাওয়ার জন্য মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা একটু অসম্ভব লড়াই লড়ে, তখন জীবন হয়ে পড়ে একটি যুদ্ধ ময়দান। 
  3. ভাতের সাথে ভর্তা খেতে খেতে যে পাঁচ তারকা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা ভাবতে থাকে সে মধ্যবিত্ত। 
  4. তোমার বড় বড় টুর এর কথা ভেবে ‌ আমি কখনো কষ্ট পাই না, আমি আমার গন্ডি সম্পর্কে জানি…কারন আমি মধ্যবিত্ত। 
  5. মধ্যবিত্ত ছেলেদের ব্যাংক ব্যালেন্স যখন জিরো থাকে তখন মনে জাগে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার কল্পনা, এটাই তাদের বাস্তব জীবন। 
  6. লড়াই এর মধ্যে যে জেতার স্বাদ পাওয়া যায় তা উচ্চ শ্রেণীর মানুষ বুঝতে পারে না, বুঝতে পারে শুধু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। 
  7. মধ্যবিত্ত মানুষদের সবাই একটা কথা বলে সান্তনা দে “দেখো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে” কিন্তু আসলে কখনোই কিছু ঠিক হয় না।
  8. মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেদের মনের মধ্যে চরম পর্যায়ে জেতার ইচ্ছা পুষে রাখতে হবে, যখনই সে জেতার ইচ্ছা হারাবে তখনই সে মৃত। 
  9. মধ্যবিত্ত ছেলেদের সব স্বপ্ন টাকার কাছেই স্থগিত হয়ে যায়, এটা মধ্যবিত্ত ছেলেরা বোঝে কিন্তু কাউকে বলতে চায় না। 
  10. ভাগ্যের খাতায় সব সময় যাদের জন্য “শূন্য” রিজার্ভ করা থাকে তারাই মধ্যবিত্ত।

 

 

মধ্যবিত্ত ছেলেদের নিয়ে কিছু কথা

মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা খুব সামান্য সম্পদ এবং বাবার খুব সামান্য সেভিংস এর মধ্য দিয়ে চলে। তবে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের বাবা মায়েরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করতে। এসব ঘরের বেশিরভাগ ছেলে মেয়েরা নিজের চেষ্টায় ছোটবেলা থেকে খুব ভালো রেজাল্ট করে পরবর্তীতে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও জীবনের নানা টানা পড়েনে তাদের জীবন হয়ে পড়ে অসহায়। বিশেষ করে ২৫ বছরের পরে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শেষ করে একটা ভালো চাকরির জন্য দিগ্বিদিক ঘুরে বেড়ায়। 

 

তখন বাবা-মায়ের শরীর খারাপ, পরিবারের টাকা-পয়সার সমস্যা, প্রিয়জনের চলে যাওয়ার তাড়া সবকিছু মিলিয়ে তখনকার সময়টা যেন বিষময় হয়ে ওঠে মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনে। হয়তো তারা কিছু কিছু সময় পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রিয়জনের হাত ছেড়ে দেন। আবার অনেকের প্রিয়জনের হাত থাকতে না পেরে পরিবারের হাত ছেড়ে দেন। কিন্তু মধ্যবিত্ত ছেলেরা সবাইকে নিয়ে একসাথে সুখে থাকতে চায়। মধ্যবিত্ত ছেলেরা না চাই বড় গাড়ি, না চায় বড় বাড়ি, তারা শুধু চায় মান সম্মানের সাথে একটা সুন্দর পরিবার নিয়ে সারাটা জীবন পার করতে। কিন্তু অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ছেলেদের জীবনের কাহিনী একটু ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

 

 

পরিবারের মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস

পরিবারের মধ্যবিত্ত কন্যা সন্তান জন্মালে তার জীবনে যতটা দুঃখ দুর্দশা থাকে তার চেয়ে বেশি দুঃখের দশা থাকে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সন্তানদের। কারণ এই সন্তানদের বাবার না থাকে বড় সেভিং, না থাকে বড় বড় কোন সম্পদ। এরা নিজেরা স্ট্রাগল করে জীবনকে একটি পরিপূর্ণ রূপ দিতে চাই। এ পর্যায়ে থাকছে তেমনি ছেলেদের জীবন নিয়ে মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস। 

 

  1. ধনীরা চায় লাক্সারি জীবন যাপন, গরিবরা চাই এক মুঠো ভাতের বিনিময়ে সারাটা দিন পার করতে, আর মধ্যবিত্ত রাজায় মান সম্মান নিয়ে একটা জীবন কাটিয়ে দিতে। 
  2. আর্থ-সামাজিক শ্রেণীকে রিপ্রেজেন্ট করে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। এরা একরাশ আসার সমষ্টি, একটি সংগ্রামের নাম, সংগ্রাম শেষে হেরে যাওয়ার নাম। 
  3. জীবনে হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার এক অদ্ভুত মিশ্রণ নিয়ে জীবন কাটার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ, সমাজের কাছে এরা নিতান্তই অবহেলিত। 
  4. মধ্যবিত্তদের জীবনে তিনটি শব্দ বিলুপ্তির পথে, সেগুলো হলো: আনন্দ’ ‘সুখ’ ‘স্বপ্ন’।
  5. মধ্যবিত্ত ছেলেদের রণক্ষেত্রে গিয়ে যুদ্ধ করার প্রয়োজন পড়ে না, এরা জীবন টাকে যেন রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলে। 
  6. মধ্যবিত্তদের জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়া ঘড়ির মতো, ঘরের এক কোণায় পড়ে থাকে কিন্তু কেউ তার খবর রাখে না। 
  7. মধ্যবিত্তদের ও স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে, কিন্তু সে স্বপ্নকে বাস্তবতার রূপ দেওয়ার অধিকার সব মধ্যবিত্ত থাকে না।

 

 

মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের গল্প

মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের গল্প মোটামুটি আমাদের সবারই জানা। এদের থেকে অর্থের কষ্ট, থাকে মান সম্মান বাঁচিয়ে রাখার কষ্ট। তবুও এরা নিজেদের কষ্টের কথা আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কারো কাছেই যেন স্বীকার করতে চান না। মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের গল্প শুধুমাত্র তাদের পরিবারের লোকজনই একমাত্র ভালোভাবে বলতে পারবে। চলুন আরো কিছু মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের গল্প এবং মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস পড়ে আসা যাক: 

 

  1. নিজেকে বাজি রেখে পরিবারের সবাইকে আগলে রাখার দায়িত্ব সবাই নিতে পারে না, এটা পারে শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছেলেরা। 
  2. স্বপ্ন ও সময়ের সংঘাতে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ফেলতে কখন যে নিজের গল্প টা ও ধীরে ধীরে শেষ হয় তা যেন মধ্যবিত্ত ছেলেদের কাছে অজানা। 
  3. বিকালে বাজারের ব্যাগ, মাস শেষে বিদ্যুৎ , গাসবিল এবং বাবা মায়ের ওষুধ কিনতে পারলেই যেন মধ্যবিত্ত ছেলের শান্তি। নিজের শখ-আহ্লাদ এদের কাছে মলিন।
  4. মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় চিন্তা করে মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার, বাড়ি ফিরে দেখে খাবারে আছে শুধু ডাল আর ভাত। 
  5. বাবার কাছ থেকে যাদের হাজার হাজার ইচ্ছাগুলো পূরণ হয়, চাওয়ার আগেই সবকিছু পায় তারা হয়তো উচ্চ শ্রেণীর মানুষ, এগুলো মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কাছে অলিক স্বপ্ন। 
  6. মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ছেলেমেয়েদের কাছে সবচেয়ে অপছন্দের মানুষটি হলো সে নিজে, কারণ সে মনে করে যে সে কাউকেই খুশি করতে পারবে না। 
  7. মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা জানে কিভাবে সকল পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়, কারণ এরা একদম ছোটবেলা থেকেই মানিয়ে নিতে নিতেই ব্যস্ত। 
  8. চোখে মুখে হাজারটা স্বপ্ন নিয়ে ছেঁড়া জুতা পরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার ছেলেটাই মধ্যবিত্ত।
  9. মধ্যবিত্ত ছেলেদের স্বপ্নগুলো বড় হলেও তাদের কাছে খুব দামি, স্বপ্নগুলো পূরণ না হলেও তারা নিজের মনে কল্পনা করতে ভালোবাসে।
  10. মধ্যবিত্ত ছেলেরাও কাঁদে, কিন্তু এরা ভেতর থেকে কাঁদে…. তাই কান্নার কোনো আওয়াজ হয় না।

 

 

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেল সাজানো হয়েছিল মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস নিয়ে। স্ট্যাটাস গুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কপি করে শেয়ার করতে পারেন, এবং স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। এরকম আরো আধুনিক স্ট্যাটাস পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment