পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন 2024

পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন
পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন

ভাগ্য বদলের আশায় প্রতি বছর লাখ লাখ বাংলাদেশী মধ্য প্রাচ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে গমন করেন। ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পর্তুগাল। বর্তমানে, এই দেশে মাসিক নূন্যতম বেতন 820 ইউরো ধার্য করা হয়েছে, যা প্রায় ৯০ হাজার টাকার সমান। উপরন্তু এই দেশটি অভিবাসী শ্রমিক বান্ধব হওয়ায় অনেকে ইউরোপে প্রবেশের পথ হিসেবে পর্তুগালকে টার্গেট করেন। তাই আপনিও যদি , পর্তুগালের কাজের ভিসা অনলাইন আবেদন করতে চান এবং এজন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন সে সম্পর্কে অবহিত হতে চান, তাহলে আমাদের আজকে এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পর্তুগাল ভিসা | প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 

আপনি পৃথিবীর যে কোনো দেশেই ভ্রমণ বা কাজের জন্য যান না কেন; এসব দেশে ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদন করতে হয়। আর ভিসা আবেদনের আগে প্রতিটা দেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এখানে আমরা দেখবো পর্তুগাল গমনের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন:

  • আপনার বৈধ পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস বাকি থাকতে হবে।
  • বাংলাদেশী নাগরিক প্রমাণপত্র হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
  • যে কাজের জন্য ভিসা আবেদন করবেন বা গমন করতে ইচ্ছুক সেই কাজ সম্বন্ধীয় সনদ লাগবে।
  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।
  • সম্প্রতি তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।

এগুলো ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে, যেগুলো আবেদন সময়ে উল্লেখ করা থাকে।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৪

পর্তুগাল গমনের জন্য দুই ভাবে ভিসা আবেদন করা যায় 

১. পর্তুগাল এসেম্বলি থেকে ভিসা আবেদন 

২. অনলাইনে ভিসার আবেদন (Portugal Visa Application Online)

এখন আমরা নিচে দুটি পদ্ধতির বিস্তারিত জানব কিভাবে আপনি কাজের ভিসা আবেদন করতে পারেন।

১. পর্তুগাল এম্বাসি থেকে ভিসা আবেদন 

দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এম্বেশি নাই। তাই বাংলাদেশিদের পর্তুগাল গমনের জন্য ভারতের দুতাবাস ব্যাবহার করতে হয়। 

ভারতে পর্তুগাল দূতাবাসের ঠিকানাঃ 

বাবা খরক সিং রুট, কনট প্লেস, নতুন দিল্লি, দিল্লি ১১০০০১, ভারত

এখানে গিয়ে প্রথমে আপনার আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাজগপত্র জমা দিতে হবে। আপনার প্রদানকৃত ডকুমেন্তস স্ক্যান করে আপনার বায়মেত্রিক তথ্য , ছবি ও সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এই ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ হতে, দের থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, তাই বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয় যেন তারা দেশে ফিরে আসতে পারেন। কেননা ভিসিট ভিসা দিয়ে ৯০ দিনের বেশি ভারতে থাকা যায় না। আপনার কাজগপত্র ঠিক থাকলে, এই সময়ের মধ্যে আপনার মেইলে, ভিসার স্ট্যাটাস জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনার যদি ভিসা আবেদন গ্রহন করা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি ভারতে গিয়ে পর্তুগাল এমব্যাসি থেকে পর্তুগাল কাজের ভিসা বা ওয়রক পারমিট সংগ্রহ করতে পারবেন। 

২. অনলাইনে ভিসার আবেদন (Portugal Visa Application Online)

পর্তুগালের জন্য অনলাইনে কাজের ভিসা সরাসরি আবেদনের কোন উপায় নেই। এজন্য আপনাকে কিছুটা কৌশলী হতে হবে। আপনাকে অনলাইন থেকে পর্তুগালের বিভিন্ন জব সাইট সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে চাকরি গুলো খুঁজে বের করে আবেদন করতে হবে। পর্তুগালের লোকবল সংকটের কারণে, অনলাইন জব সাইটের মাধ্যমে কোম্পানিগুলি বাইরের দেশে কর্মীদের আকর্ষণ করেন এবং ফ্রী ভিসা প্রদান করে। তাই আপনার কাজে ধর্ম অনুযায়ী আপনাকে ভালোভাবে একটি সিভি তৈরি করতে হবে। তারপর এসব কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি এসব কোম্পানিতে কাজ করার জন্য নির্বাচিত হন, তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট সহ ভিসা ভারতে অবস্থিত পর্তুগাল দূতাবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এখান থেকে আপনার পর্তুগাল কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।

“আরো পড়ুন”

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কাতার ভিসা চেক

পর্তুগাল d2 d3 এবং d7 ভিসা 

পর্তুগাল ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে আপনি বিভিন্ন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য D2 ভিসা রয়েছে, যা এক বছরের জন্য বৈধ। শিক্ষার্থীরা D3 ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, এটিও এক বছরের জন্য বৈধ এবং প্রতি বছর নবায়ন যোগ্য নয়। অবসরপ্রাপ্তরা D7 ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন, যা দুই বছরের জন্য বৈধ এবং প্রতি দুই বছরে নবায়ন করা যায়। প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা আলাদা ডকুমেন্তস প্রয়োজন, যেমন পর্যাপ্ত আয়, পর্তুগালে থাকার জায়গা, স্বাস্থ্য বীমা, এবং কিছু ক্ষেত্রে ভাষাগ্যত দক্ষতার প্রমাণ। আপনি কোন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করবেন তা নির্ধারণের পরে, ভিসা আবেদন করুন।

পর্তুগাল কৃষি ভিসা আবেদন ২০২৪

পর্তুগালে কৃষি কাজের জন্য ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি দুই ধরণের ভিসা আবেদনের সুযোগ পাবেন।  ঋতুভিত্তিক কাজের জন্য রয়েছে D1 ভিসা, যা সর্বোচ্চ ৯ মাসের জন্য বৈধ। দীর্ঘমেয়াদী কাজের জন্য রয়েছে D2 ভিসা, যা এক বছরের জন্য বৈধ এবং প্রতি বছর নবায়ন করা যায়।

আবেদনের জন্য আপনাকে কয়েকটি কাগজপত্র জমা দিতে হবে, যেমন  কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকা পাসপোর্ট, পূরণকৃত আবেদনপত্র, ছবি, পর্তুগালে থাকার ব্যবস্থা, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ, স্বাস্থ্য বীমা, পর্তুগালের নিয়োগকর্তার সাথে কাজের চুক্তি এবং কৃষি কাজের অভিজ্ঞতা (যদি থাকে) প্রমাণ।

VFS Global-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যায়।  ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এবং নির্দেশাবলী মেনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।  

“আরো পড়ুন”

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক

শেষ কথা | পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন

প্রিয় পাঠক, আজের লেখায় আমারা Portugal visa application online সম্পর্কে জেনেছি। আশা করছি লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে। প্রতি বছর ইউরপের দেশগুলিতে পারি দিতে হাজার হাজার বাংলাদেশি সাগরে ডুবে মারা যায়। তাই আমাদের অনুরধ বৈধ পথে নিয়ম মেনে বিদেশ জান, দালাল থেকে দূরে থাকুন। আর, ঘরে বসেই ‘পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন’ আমাদের এই ব্লগে আমরা নিয়মিত এই জাতীয় লেখা প্রকাশ করে থাকি, তাই আমাদের ব্লগটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। 

পর্তুগাল ভিসা | প্রশ্ন উত্তর – FAQ

ইন্টারনেটে ‘পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন’ সম্পর্কিত সর্বাধিক জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন সমুহের উত্তর আপনাদের সুবিধার্থে দেওয়া হল। এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকলে, নিচে কমেন্তস বক্সে, মন্তব্য করতে ভুলবেন না। 

পর্তুগাল ভিসার দাম কত? 

পর্তুগাল সহ ইউরোপের যে কোন দেশে ভিসার আবেদন ফি অনেক কম, কিন্তু দালালের মাধ্যমে বা কোন এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা পেতে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। 

পর্তুগাল ভিসা আবেদন ২০২৪ করার নিয়ম 

ভিসা আবেদনের বিস্তারিত আমাদের এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে। তাই আমাদের এই লেখাটি ভালকরে পড়ুন। 

বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পর্তুগাল ভিসার আবেদন করা যায় না। তাই, আমাদের ভারতে ভ্রমন করে ভিসার আবেদন করতে হয়। 

বাংলাদেশে কি পর্তুগাল এম্বাসি আছে?

বাংলাদেশে পর্তুগালের সরাসরি কোন দূতাবাস নেই। তাই, বাংলাদেশ থেকে যারা পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাদের ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত VFS Global-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

পর্তুগাল ভিসা চেক

আপনার পর্তুগাল ভিসা আবেদনের অবস্থা চেক করার উপায় হল:

 VFS Global-এর মাধ্যমে:

  • VFS Global-এর ওয়েবসাইটে যান
  • “আপনার অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাক করুন” ক্লিক করুন।
  • আপনার অ্যাপ্লিকেশন ID এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করুন।
  • “ট্র্যাক করুন” ক্লিক করুন।

“আরো পড়ুন”

পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক

পর্তুগাল ভিজিট ভিসা ফি কত?

পর্তুগাল ভিজিট ভিসার ফি নির্ভর করে আপনার বয়স, আবেদনের ধরণ এবং আপনি কোন দেশ থেকে আবেদন করছেন তার উপর।

সাধারণভাবে:

  • বড়দের জন্য (12 বছর বা তার বেশি): €80
  • শিশুদের জন্য (6-12 বছর): €40
  • 6 বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য: বিনামূল্যে

কিছু ক্ষেত্রে, ফি ছাড় দেওয়া হতে পারে।

পর্তুগাল ভিসা এজেন্সি

পর্তুগাল ভিসা এজেন্সি 

  • VFS Global (পর্তুগাল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত)
  • BLS International Services
  • Visa Facilitation Services Global (VFSG)

Read More:

  1. ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪ আবেদন ফরম ও সকল তথ্য
  2. পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ওমানের ভিসা চেক

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top